এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যার কারনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। সংকট নিরসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চাহিদাপত্র প্রেরণ করেও কোন ফল হচ্ছে না।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে জাতীয়করণ করা হয়। দীর্ঘ বছর নানা চরাই-উৎরাই পেরিয়ে সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে গেলেও ছন্দপতন ঘটে ২০১৬ সালের পর থেকে। এ বছর থেকেই শুরু হয় শিক্ষক সংকট। বাংলা বিভাগের একজন সহকারী শিক্ষিকা ৬ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের ভার বহন করে চলছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই প্রায় ৬ বছর যাবত। গণিত বিষয়ের পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় শিক্ষার্থীদের গণিত ও উচ্চতর গণিতের জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রাইভেটের ওপর নির্ভর করতে হয়।
শূন্য রয়েছে জীববিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ভূগোল, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার পদগুলো। সব মিলিয়ে ১৯ পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে মাত্র ৬ জন।
অপরদিকে, কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে ৭ টি। উচ্চমান সহকারী ও নি¤œমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক ৬ বছর ধরে পদ শূন্য রয়েছে। ৪র্থ শ্রেণি ৫টি পদই শূণ্য। ২ জন মাষ্টার রোলের ২ জন মহিলা দিয়ে চলছে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর কাজ। এসব কারণে শিক্ষার কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থী সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক জানান, ‘এখন এ বিদ্যালয়টি শুধু নাম বহন করে চলছে। তাদের মেয়েদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক প্রাইভেট পড়িয়ে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। দূরের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। নানাবিধ সংকটের কারণে অনেকে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে।,
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে সব সময় ভালো ফলাফল এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের সাথে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখা এ বিদ্যালয়টি চরম সংকটের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।